শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

নবাবগঞ্জে ঝড়ে পড়া শিশুদের জন্য গড়ে উঠেছে বর্ণমালা স্কুল

নবাবগঞ্জে ঝড়ে পড়া শিশুদের জন্য গড়ে উঠেছে বর্ণমালা স্কুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:: দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইটের কারখানায় কাজ করতে আসা শ্রমিকদের ছেলে মেয়েদের জন্য নবাবগঞ্জে গড়ে তোলা হয়েছে বর্ণমালা স্কুল। এখানে ঝড়ে পড়া শিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে একটি স্বেচ্ছসেবী দল। তাঁরা প্রায় শতাধীক শিশুদের জন্য এ ব্যবস্থা করেছে। উপজেলার চালনাই ব্রিজের পাশে এ কার্যক্রম শুরু করেছে স্বেচ্ছাসেবীরা।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে ৮ম বছরের মতো স্কুলের কার্যক্রম শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবীরা। এসময় তাঁরা শতাধিক শিশুর হাতে বই, স্কুল ব্যাগ শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন।

জানা গেছে, প্রতি বছর নভেম্বর মাসে ইটভাটার পাশে শ্রমিকদের ছেলে মেয়েদের জন্য বর্ণমালা স্কুলের কার্যক্রম শুরু করেন এ স্বেচ্ছাসেবী দল। তাঁরা শিশুদের বই, খাতা, কলম ব্যাগ দেন। এখানে কয়েকজন শিক্ষকও নিয়োগ দেন। বছরে প্রায় ৬ মাসের জন্য এ স্কুলটি চালু থাকে। দুই জন শিক্ষক এখানে কাজ করেন।

স্বেচ্ছাসেবী তরুণ আবু নাইম দোহারী বলেন, ইটের কারখানায় কাজ করেন দেশের বিভিন্ন জেলার সাধারণ শ্রমিকরা। তাঁদের পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করেন বছরের প্রায় ৬ মাস। তাঁদের সন্তানরা যাতে নিরক্ষর না থাকে সে জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নবাবগঞ্জে ঝড়ে পড়া শিশুদের জন্য গড়ে উঠেছে বর্ণমালা স্কুল

বর্ণমালা স্কুলের শিক্ষক মো. সোহাগ হোসেন বলেন, শুক্রবার বর্ণমালা স্কুলের ৮ম বছরের কার্যক্রম শুরুর অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতি যেন মিলন মেলায় পরিণত করেছে। আমরা এটাকে ধরে রাখতে চাই। শ্রমিকের সন্তানরা যাতে শিশু শ্রমের কাজে ব্যস্ত না থেকে এ স্কুলে গিয়ে পড়াশুনা করে এ বিষয়ে তাঁদের সচেতন করা হচ্ছে।

কারখানায় কাজে আসা শ্রমিক রহিম শেখ বলেন, আমগো ছাওয়ালরা কিছু লেহাপড়া (লেখাপড়া) করতে পারলে ভাল হবি।

নারী শ্রমিক ময়না বেগম বলেন, ‘আমগো পোলা মাইরা লেহাপড়া শিকলে ভালো করবি। তহন আর আমগো কেউ ঠহাতে পারবে না’।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোক্তা হাফেজ আব্দুল ওয়াহাব দোহারী, শামীমা রাহিম শীলা, ভিপি কামাল হোসেন, মশিউর রহমান মাখন, মো. বোরহান প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com